শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে সাথে নিয়ে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলমান রাখবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার। এসময় তিনি কক্সবাজারকে মনোরমভাবে সাজাতে নবনির্বাচিতদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় কউকের মাল্টিপারপাস হল রুমে পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী ও কাউন্সিলরদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন কউক চেয়ারম্যান।
কউক চেয়ারম্যান কমডোর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘কক্সবাজার পৌরসভায় মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর মতো দক্ষ মানুষ দায়িত্বে আসায় খুশি হয়েছি। আশা করি মেয়র মাহাবুর নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে কক্সবাজার পৌরসভা। কক্সবাজারের সার্বিক উন্নয়নে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (কউক) পৌরসভার পাশে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একযোগে কক্সবাজার জেলায় যে উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো হচ্ছে তার সুফল ভোগ করবে কক্সবাজারবাসী। ইতোমধ্যে কক্সবাজারকে সাজাতে যে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইকো-ট্যুরিজম, এলএনজি টার্মিনাল, গভীর সমুদ্র বন্দর, সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। এছাড়া বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে হলিডে মোড় থেকে বাসটার্মিনাল বৃহত্তর সড়ক, শহরের বিভিন্ন মোড়ে মনোরম ভাস্কর্য, বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন। নাফ ট্যুরিজম পার্ক, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, দোহাজারি থেকে ঘুমধুম রেল লাইনের মতো অভাবনীয় কর্মযজ্ঞও চলমান রয়েছে।’
এসময় কমডোর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার পৌরসভার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র তুলে ধরে বলেন, ‘কক্সবাজার শহরের কমিউনিটি ভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বাজার ঘাটার মধ্য দিয়ে যাওয়া মেইন রোড সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ দখলদার ও বিক্রেতাদের উচ্ছেদের জন্য যৌথ কর্মপরিকল্পনা, সমুদ্রসৈকত পরিচ্ছন্নতা, কলাতলী সড়কের সৌন্দর্যায়ন আবশ্যক। এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, সাংস্কৃতিক পুনর্জীবন স্কিম, কক্সবাজারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা, কক্সবাজার ও মহেশখালীর মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালু, কক্সবাজার শহরে পার্ক স্থাপন, একটি অত্যাধুনিক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
কউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতিতে অবদান, ইকো ট্যুরিজ্যম, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পন্নের ব্যাপারেও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট আন্তরিক রয়েছে। আমাদের ভিশন হলো ট্যুরিজমকে উন্নত করা, বিরাট উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে কক্সবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা।’
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজারকে বিশ্বমানের পর্যটন স্পট করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন যোগ্য ব্যক্তিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন। আশা করি তিনি কক্সবাজারকে মনের মতো করে সাজাতে পারবেন। এক্ষেত্রে কক্সবাজার পৌরসভার যে ধরণের সহযোগিতা দরকার তা করে যাবো। কউকের আন্তরিকতার উদাহরণ দেখছি আমরা। এই কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী করে গড়ে তুলতে আমরা সবসময় কউকের পাশে আছি। কউক যে পরিকল্পনাগুলো হাতে নিয়েছে তা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনসহ একসঙ্গে কাজ করে যাবো। সকলে মিলেমিশে কাজ করে এই কক্সবাজারকে আধুনিক, পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে উপহার দেবো।’
এ সময় কউক এর সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, কউক সচিব আবুল হাসেম, কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলরসহ কউক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply